ঘুমন্ত স্বামীকে কুপিয়ে খুন

বিধান পোলট্রির ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রী অনেক দিন ধরেই রোগে ভূগছিলেন। মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বর্মন পরিবারের দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাকি দুই ছেলেমেয়ে বাবা-মায়ের কাছেই থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘুমন্ত স্বামীকে কুড়ুলের কোপে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মাটিয়া থানার জাফরপুর গ্রামে। নিহতের নাম বিধান বর্মন (৪৮)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তাঁর স্ত্রী মলিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের জন্য ব্যবহৃত কুড়ুলটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বিধান পোলট্রির ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রী অনেক দিন ধরেই রোগে ভূগছিলেন। মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বর্মন পরিবারের দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাকি দুই ছেলেমেয়ে বাবা-মায়ের কাছেই থাকে।

Advertisement

ঘটনার রাতে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছিল ছোট মেয়ে সুপ্রিয়া। ছেলে বিশ্বজিৎ ঘুমোচ্ছিল পাশের ঘরে। রাত ১২টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাচ্ছিল বিশ্বজিৎ। সে সময়ে মা তাকে ডাকে। বলে, বাবা ডাকছে। ঘরে ঢুকে বিশ্বজিতের চোখে পড়ে, বাবার দেহ পড়ে আছে মেঝেয়। রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। ওই দৃশ্য দেখে সাময়িক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিশ্বজিৎ। নিজেকে একটু সামলে নেওয়ার পরে মাকে জিজ্ঞাসা করে, কী ভাবে ঘটল এই ঘটনা। পুলিশকে সে জানিয়েছে, মা তাকে বলে, জোর করে ওষুধ খেতে দিচ্ছিল বাবা। তাতে মাথা গরম হয়ে যায় মলিনার। বিধান ঘুমিয়ে পড়লে তাঁকে কুড়ুল দিয়ে কোপ মারে সে।

বৃহস্পতিবার গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, ইটের গাঁথনির উপরে টালির চাল দেওয়া বাড়ির সামনে মানুষের জটলা। বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ থাকার ফলে ইদানীং কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল মা। মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে মনে হত। কখন কী করবে, কী খাবে, কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবে— আগে থেকে কিছুই বোঝা যেত না। কিছুতেই ওষুধ খেতে চাইত না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement