ফাইল চিত্র
স্ত্রীর উপর চলত যৌন অত্যাচার। বাড়িতে অন্য মহিলাদের ডেকে এনে কোনও রাখঢাক না রেখেই চলত ফুর্তি।
এই সব অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই রেজাউল লস্করের (৫০) যৌনাঙ্গ কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় সোমবার সকালে। মৃতের বাড়ি ক্যানিং থানার মালিরধার গ্রামে। তদন্তে নেমে শুক্রবার তার স্ত্রী আহারজান লস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে-ই পুলিশকে জানিয়েছে স্বামীর কুকীর্তির কথা। পুলিশের দাবি, খুনের ছক কষার কথা স্বীকার করেছে আহারজান। জানিয়েছে, ভাই কাদের সর্দার এবং তার এক সঙ্গী মিলে খুন করেছে রেজাউলকে। ওই দু’জনকে খুঁজছে পুলিশ।
টোটো চালক রেজাউলের দেহ উদ্ধার হয়েছিল ক্যানিংয়ের দুমকি গ্রামের বাবলাতলা এলাকার ফাঁকা মাঠের পাশে একটি খাল থেকে। যৌনাঙ্গ কেটে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে ঘা মেরে খুন করা হয় তাকে।
রেজাউলের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এক সময়ে জেরায় ভেঙে পড়ে আহারজান। পুলিশ জানতে পারে, প্রায় পঁচিশ বছর আগে রেজাউলের সঙ্গে আহারজানের বিয়ে হয়। তার দাবি, নানা ভাবে অত্যাচার শুরু করেছিল রেজাউল। অন্য মহিলাদের বাড়িতে ডেকে শারীরিক সম্পর্ক করত। স্ত্রীর উপরে চলত যৌন নির্যাতন। সংসার চালানোর জন্য খরচ দিত না।
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভাই কাদেরকে সব বলে আহারজান। জামাইবাবুকে খুনের পরিকল্পনা করে কাদের। এক সঙ্গীকে নিয়ে রবিবার রাতে বাইকে করে রেজাউলকে তুলে নিয়ে যায়। বাবলাতলায় তিনজন মিলে মদ্যপান করে। খুন করা হয় সেখানেই। মাথায় ঘা নিজে জ্ঞান হারালে রেজাউলের যৌনাঙ্গ কেটে দেয় আততায়ীরা। তারপর খালের জলে দেহ ফেলে দিয়ে পালায়।