Panchayat Election

বাড়ির পাশে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তবুছুটতে হয় দূরের হাসপাতালে

ওঁরা সকলে নতুন প্রজন্মের ভোটার। কেউ কলেজ পড়ুয়া, কেউ পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খুঁজছেন। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বহু আকাঙ্ক্ষা ওঁদের। গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান নিয়েও স্বপ্ন দেখেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ ০৯:১৭
Share:

আলোচনায় ব্যস্ত এলাকার যুবকেরা। নিজস্ব চিত্র

Advertisement

দিলীপ নস্কর

Advertisement

হারুণ মণ্ডল: প্রত্যেক বছর গরম পড়লেই এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়। মূল সড়কের উপরে পাইপলাইন রয়েছে। অথচ গ্রামে পাইপ লাইন না থাকায় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

মনজুর আলম: গরম পড়লে তো জলস্তর নেমে যায়। একই সঙ্গে এলাকার পানীয় জলের নলকূপ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পাইপ লাইনের জলের খুবই প্রয়োজন।

সামিম আহমেদ: এক দিকে যেমন পানীয় জলের সমস্যা। অন্য দিকে, নিকাশি খালগুলি বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে জল জমে যায়। তখন চাষ করা যায় না। আবার গ্রীষ্মে জলের অভাবে চাষ হচ্ছে না। দু’দিকেই সমস্যা। এই বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নেতারা নিকাশি খালের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি হয় তো দেবেন।

মনজুর: খালের সংস্কার করবেই বা কী ভাবে। যত্রতত্র খালের জমি দখল করে বাড়ি-দোকানঘর তৈরি হয়ে যাচ্ছে যে। তার জেরেই তো নিকাশি প্রায় বন্ধ।

গউসুল হক: পানীয় জল, নিকাশি সমস্যার পাশাপাশি দিনে দিনে বিদ্যুতের সমস্যা বেড়েছে। লো ভোল্টেজ ও লোডশেডিংয়ের প্রবণতা বাড়ছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন মানুষ।

রিয়াজউদ্দিন মোল্লা: আমাদের এই এলাকায় জামা-কাপড় তৈরি ও দর্জির কাজ হয়। বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে মোটর ঘোরে না। ফলে কাজে বিঘ্ন ঘটে। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে প্রার্থীদের মুখে অনেক প্রতিশ্রুতি শোনা যাবে এ সব নিয়েও।

মনজুর: গরম পড়লেই শোনা যায়, বিভিন্ন স্কুলের নলকূপও খারাপ হয়ে গিয়েছে। মিড ডে মিলের রান্না করতে হচ্ছে পুকুরের জলে। স্কুলগুলির পরিকাঠামোও ভাল নয়।

তানজিমুল মোল্লা: মগরাহাটের স্কুলগুলিতে ছেলেমেয়েদের যাতায়াতেরও খুব সমস্যা রয়েছে। নিত্যদিন যানজটে পড়তে হয়।

মনজুর: যানজট তো হবেই। রাস্তার উপরে দোকান বসে যায়। এমনিতেই সরু রাস্তা। ফলে গাড়ি চলাচল করতে পারে না।

সামিম: শুধু স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই নয়, ট্রেন যাত্রীরাও আটকে পড়েন রাস্তায়।

মনজুর: রাস্তায় আটকে পড়া মানে একটি ট্রেন মিস হয়ে যাওয়া। তেমন হলে ফের এক-দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় পরের ট্রেনের জন্য।

সামিম: আমাদের এই এলাকার বড় ভরসা হতে পারত গোকর্ণী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু এত বছরেও তেমন কোনও উন্নয়ন হল না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নত পরিকাঠামোর জন্য বার বার আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কাজের কাজ কিছু হয়নি।

মনজুর: বাড়ির পাশেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অথচ সামান্য প্রয়োজনেও ছুটতে হয় মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতাল বা ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। কবে যে এই সমস্যার সমাধান হবে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement