গোবরডাঙা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুভাষ দত্ত। নিজস্ব চিত্র
দল কড়া বার্তা দেওয়ার পর পরই নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুভাষ দত্ত। সুভাষ দাবি করেছেন, রাজ্যের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুরোধ মেনে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণও তুলে ধরেছেন। যদিও গোবরডাঙার তৃণমূল শিবিরের একটি অংশের ব্যাখ্যা, গোঁজ প্রার্থীদের নিয়ে দল যে কড়া অবস্থান নিয়েছে তার জেরেই প্রার্থিপদ মৌখিক ভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সুভাষ।
গোবরডাঙা পুরসভার দুই বারের চেয়ারম্যান ছিলেন সুভাষ। পুরভোটে টিকিট না পেয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। রবিবার তিনি সেই লড়াইয়ে ইতি টানার ঘোষণা করেছেন। শনিবার রাতে এ নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বকে লিখিত ভাবেও জানিয়েছেন সুভাষ। আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরভোটে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে সুভাষ লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেও ইভিএমে নির্দল প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম এবং প্রতীক থাকবে। তবে সুভাষের বক্তব্য, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায়, এখন দলের নির্দেশ মতো তিনি লিফলেট বিলি করে ভোটযুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভোটারদের জানিয়ে দেবেন।
সুভাষের কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে যাঁদের সঙ্গে পথ চলেছি, তাঁরা এখন স্থানীয়, জেলা অথবা রাজ্য স্তরের নেতা। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুরোধ ফেলতে পারিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আবেদন করেছেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার কররার জন্য। উনি আমার হৃদয়ে রয়েছেন। সে কথা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়েও বলেছি। দলের স্বার্থে আমি আমার প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করে নিলাম। আমার শরীর ভাল নয়। তা ছাড়া শ’তিনেক কর্মীর কেউই মেনে নিতে পারছেন না।’’
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূলের তরফে ৬১ জনকে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, দলীয় নির্দেশের ৪৮ ঘন্টা পরেও যাঁরা পুরভোটে নির্দল প্রার্থী বা অন্য কোনও দলের হয়ে লড়ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।