হঠাৎ লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি।
মাস তিনেক আগে আমরা তিন ভাই ভাঙড়ের রানিগাছি থেকে অজমের শরিফে জরির কাজ করতে গিয়েছিলাম। এলাকার কয়েকজন যুবকও গিয়েছিল। স্থানীয় এক ঠিকাদারের সঙ্গে যাই আমরা। হঠাৎ লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ি ফিরতে পারছিলাম না। অজমের শরিফের লুঙ্গিয়া মহল্লায় জরির কারখানায় আমরা প্রায় ১৫-২০ জন এক সঙ্গে ছিলাম। জমা টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হচ্ছিল। ঠিকাদার অবশ্য সহযোগিতা করেছেন। মাঝে মধ্যে ওখানকার পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষেও খাবার দিয়ে যেত। কিন্তু বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারিনি। ফলে বাড়ির লোকজনও সমস্যায় পড়ে যায়। অজমের দরগা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি ফেরানোর অনুরোধ করি। তারাই প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আমাদের কয়েকজনের ফেরার ব্যবস্থা করে। পুলিশের গাড়ি করে আমাদের ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। এ জন্য কোনও টাকা-পয়সা লাগেনি। ট্রেনের মধ্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমার এক ভাই আলমগির আলি এখনও ওখানে আটকে। আমি নিজে ফিরে এলেও ওর জন্য মনটা খারাপ লাগছে। আসার সময়ে ভাই কান্নাকাটি করছিল। কবে ফিরতে পারবে তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। ডানকুনিতে নামার পরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। এত দিন পরে বাড়িতে আসার পরেও সকলের সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। প্রশাসনের নির্দেশে ঘরের মধ্যে বন্দি থাকতে হচ্ছে। কাজ করতে পারছি না। কিন্তু বসে থালকে কী করে চলবে! প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তা হলে কিছুটা সুরাহা হবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)