প্রতীকী ছবি।
৬-৭ মাস আগে মিনাখাঁর সোহানি গ্রাম থেকে রাজস্থানের নাঙ্গলে জরির কাজে গিয়েছিলাম। স্ত্রী চায়না বিবিও সঙ্গে ছিল। যে মালিকের কাছে কাজ করতাম, তিনিই আমাদের থাকা-খাওয়া দিতেন। লকডাউনের পরে কারখানায বন্ধ হয়ে গেলেও মালিক সব রকম সাহায্য করেছেন। তবে কাছে টাকা ছিল না। মালিক বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন, আমাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য। কয়েক দিন আগে স্থানীয় থানার পুলিশ খবর দেয় তিন-চার তারিখ নাগাদ ফেরার ব্যবস্থা হতে পারে।
প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। হঠাৎ ৪ তারিখ সকাল ৮টা নাগাদ মালিক এসে জানালেন, ট্রেনের ব্যবস্থা হয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে গুছিয়ে নিয়ে বেরোতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাসে অজমের শরিফ স্টেশনে আনা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ডানকুনিতে ট্রেন থেকে নামার পরে আরও এক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। খাবারও দেওয়া হয়। বাড়িতে কী ভাবে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হবে, তা-ও বোঝানো হয়। ডানকুনি থেকে প্রথমে আমরা ভুল করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলের সঙ্গে বারুইপুরে চলে গিয়েছিলাম। ওখান থেকে মিনাখাঁ ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের আলাদা গাড়িতে করে রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। খাবার ঘরেই দিয়ে যাচ্ছে। তবে আলাদা শৌচাগার না থাকায় কিছুটা অবশ্য অসুবিধা হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)