ক্ষোভ: গ্রামের মেয়ে-বৌদের। — নিজস্ব চিত্র
মদের দোকাল খোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতেই ফের উঠতে শুরু করল পুরনো অভিযোগ। বাড়ির পুরুষরা মদ খেয়ে অত্যাচার শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করলেন বহু মহিলা। এমনকী, ত্রাণের চাল-ডাল বিক্রি করে সেই টাকায় পুরুষরা মদ খেয়ে অশান্তি করছেন বলেও চেনা অভিযোগ ফের শোনা গেল।
বুধবার বসিরহাটের শিবহাটি গ্রামে একটি মদের দোকানে যাওয়ার রাস্তায় কাঁটা ফেলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘‘আমাদের গ্রামে বেশির ভাগই গরিব মানুষের বাস। একবেলা আধ পেটা খেয়ে কোনও রকমে চলছে। গ্রামের মধ্যে মদের দোকান খোলায় আগে অশান্তি হত। লকডাউনের মধ্যে কয়েকটা দিন অন্তত সে দিক থেকে অশান্তি ছিল না। কিন্তু ফের মদ বিক্রি শুরু হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে সংসারে।’’
দু’দিন আগে খোলা হয়েছিল দোকান। তবে গ্রামবাসীদের বাধায় তা বন্ধও হয়েছে। স্থানীয় আবগারি দফতরের ওসি সঞ্জয় রুদ্র বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই দোকানটি বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।’’ শিবহাটি গ্রামে যেখানে দোকানটি খোলা হয়েছিল, তার কাছেই হাইস্কুল এবং ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এমন জায়গায় কী ভাবে মদের দোকান খোলার জন্য লাইসেন্স মিলল, সে বিষয়ে প্রশ্ন আছে। সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমার আসার আগেই দোকানটি খোলা হয়েছে। তাই কী ভাবে হাইস্কুল এবং ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে মদের দোকান খোলার অনুমতি মিলেছিল, তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’’ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সুভদ্রা মণ্ডল, কল্পনা সর্দাররা বলেন, ‘‘ঘরে যখন এক মুঠো ভাত ফোটানোর টাকা নেই, সে সময়ে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে হুজ্জতি সহ্য করা যাচ্ছে না।’’ অনেকে এ-ও বলেন, ত্রাণের জন্য পাওয়া চাল বিক্রি করেও কেউ কেউ মদ কিনে খেয়েছে। অন্য দিকে, বনগাঁর কলমবাগান এলাকার একটি মদের দোকানও বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)