coronavirus

ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ফেরানোর দাবি

ওই শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যেরা জানান, কয়েক বছর ধরেই উল্লাসনগরে জরির কাজ করেন ওই শ্রমিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০২:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

লকডাউনের জেরে মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরে আটকে পড়েছেন কাকদ্বীপের নেতাজি পঞ্চায়েতের শিবনগর গ্রামের প্রায় ৬০০ শ্রমিক। অভিযোগ, তাঁদের ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগ করছে না প্রশাসন। ওই শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যেরা জানান, কয়েক বছর ধরেই উল্লাসনগরে জরির কাজ করেন ওই শ্রমিকেরা। কয়েক মাস অন্তর বাড়ি ফিরতেন। এ বারও রোজার মাসে ফেরার কথা ছিল। আগাম ট্রেনের টিকিটও কাটা ছিল। কিন্তু লকডাউনে পরিবহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা।

Advertisement

প্রথম দিকে জমানো টাকা থেকে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। কিন্তু এখন সে টাকাও শেষ। বাধ্য হয়ে অনেকে বাড়িতে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলছেন। সেই টাকা জোগাড় করতেও হিমসিম খাচ্ছে পরিবারগুলি।

আটকে পড়া শ্রমিকেরা টেলিফোনে জানান, একটি ঘরে ১০-১৫ জন করে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। বাইরে বেরোলেই পুলিশ লাঠি নিয়ে তাড়া করছে। কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি। প্রশাসন কোনও ভাবেই সাহায্য করেনি। এলাকার নেতা, মন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বাইরের রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য সরকারের তরফে যে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেখানে ফোন করেও কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

মশিয়ার মোল্লা, সামশের মোল্লারা বলেন, “মুড়ি কিনে ৫-৭ জন মিলে এক থালায় খাচ্ছি। প্রায় অনাহারে কাটছে। এ ভাবে আর কত দিন কাটাব?” মশিয়ারের বাবা খালেকের অভিযোগ, “ছেলেকে ফেরাতে পঞ্চায়েত সদস্য, ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” শিবনগর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রেজওয়ান লস্কর বলেন, “এই গ্রামের কয়েকশো যুবক মহারাষ্ট্রে আটকে পড়েছেন। ওঁদের নামের তালিকা ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।” কাকদ্বীপের বিডিও দিব্যেন্দু সরকার জানিয়েছেন, ওই তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement