সোহিনী দে এবং দেবার্ঘ্য চক্রবর্তী
মাধ্যমিকের পর এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও বনগাঁ হাইস্কুলের ছাত্র সাফল্যের গর্বিত হলেন বনগাঁবাসী।
মাধ্যামিকে বনগাঁ হাইস্কুলের ছাত্র মঞ্জুষ হালদার রাজ্যের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান লাভ করেছিল। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ওই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র দেবার্ঘ্য চক্রবর্তী ৪৯৮ পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে।
বনগাঁ শহরের রেটপাড়া এলাকায় তার বাড়ি। বাবা দেবাশিস চক্রবর্তী স্কুল শিক্ষক। মা মহুয়া সংসার সামলান। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান দেবার্ঘ্য। ভবিষ্যতে সে চিকিৎসক হতে চায়। করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের ভূমিকা তাকে উৎসাহিত করেছে। ভাল গানও করে দেবার্ঘ্য। অবসরে গল্পের বইও পড়ে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে সে বনগাঁ হাইস্কুলের ছাত্র। তবে আগে কখনও সে স্কুলে পরীক্ষায় প্রথম হয়নি।
খেত মজুরের মেয়ে সুপর্ণা খাতুন উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৫ পেয়ে রাজ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল করেছে। সে গাইঘাটার বেড়ি গোপালপুর আদর্শ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী। বাড়ি সুবিদপুর। নবম শ্রেণি থেকে স্কুলে প্রথম হচ্ছে।
বাবা আলি হোসেন সর্দার খেতমজুরের কাজ করেন। সামান্য কিছু জমি আছে। সেখানে চাষবাসও করেন। মা নার্গিস গৃহবধূ। দুই ভাই বোনের মধ্যে সুপর্ণা বড়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সুপর্ণা এবার বাংলা এডুকেশন সংস্কৃত এবং ভূগোলে ১০০ করে নম্বর পেয়েছে। ভবিষ্যতে ভূগোল নিয়ে গবেষণা করতে চায় সে। সুপর্ণার কথায়, ‘‘ছোটবেলা থেকেই ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করতে ভাল লাগে। পৃথিবীকে জানা যায়।’’
সুপর্ণা খাতুন
গ্রামের মেয়ের সাফল্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পাড়া-পড়শিরা গর্বিত। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে গিয়েছে। অবসর সময়ে গল্পের বই পড়তে ছবি আঁকতে এবং বাগান পরিচর্যা করতে সুপর্ণা পছন্দ করে।
হাবড়ার কামিনীকুমার গালর্স হাইস্কুলের ছাত্রী সোহিনী দে থাকে প্রতাপনগরে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। অঙ্ক, কেমিস্ট্রি ও ফিজিক্সে ১০০ করে নম্বর পেয়েছে সে। বাবা নারায়ণচন্দ্র পেশায় গৃহশিক্ষক। অঙ্ক করান। বাবার কাছেই সে অঙ্ক করেছে। সোহিনীর প্রিয় বিষয় ফিজিক্স। এ বিষয়েই গবেষণা করতে চায় সে। সোহিনীর কথায়, ‘‘ফিজিক্স নিয়ে যত দূর সম্ভব এগোব।’’
পড়াশোনার পাশাপাশি গান করে সোহিনী। ছবিও আঁকে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গান কিছুদিন বন্ধ ছিল। এখন আবার গানটা শুরু করতে চায় সোহিনী।