ছোট সাহেবখালি গ্রামে রবিবার দুপুরের ভোজে মহিলারা। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের মুখে গ্রামের মানুষকে মাংস-ভাত খাওয়াল তৃণমূল। রবিবার হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পঞ্চায়েতের ছোট সাহেবখালি গ্রামের ১২০টি পরিবারের মহিলাদের নিয়ে এই ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সরকারের সাফল্য গ্রামের মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। বিরোধীরা অবশ্য এই ঘটনায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে।
ভোটের মুখে ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ বলে নতুন কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। এ দিন সেই কর্মসূচির ব্যানারেই সাহেবখালিতে এই ভুরিভোজের আয়োজন হয়। খাদ্য তালিকায় ছিল ভাত, ডাল, ভাজা, মুরগির মাংস, মিষ্টি। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূলের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার এবারের প্রার্থী দেবেশ মণ্ডল, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নেতারা জানান, জনসংযোগ বাড়াতে এবং সরকারের সাফল্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ীই এলাকার মহিলাদের নিয়ে এই ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ও রবিবার এই এলাকার আরও মহিলাদের নিয়ে ফের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হবে। এই বিধানসভার অন্য এলাকাতেও তৃণমূলের তরফে খাওয়ানো হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় খাওয়ানো শুরুও হয়েছে।
বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, “তৃণমূল যদি মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসত, তাহলে লকডাউন এবং আমপানের সময় খাওয়াতে পারত। সেই সময় মানুষ ত্রিপল ও চালটুকুও পায়নি। এখন ভোটারদের প্রভাবিত করতে এই কাজ করছে। এটাতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে।” সিপিএম নেতা শ্রীদীপ রায়চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের প্রার্থীর উপস্থিতিতে যেভাবে
ভোটের আগে মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে তাতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করব। হিঙ্গলগঞ্জের মানুষকে অপমান করছে তৃণমূল।”
তৃণমূল প্রার্থী দেবেশ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা এক জায়গায় জড়ো হয়ে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র এনে একসঙ্গে সবাই মিলে খেয়েছে । এতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কিছু নেই।”