বিদ্যা নদীতে ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র
নদী ঘেরা সুন্দরবনের মানুষের দুয়ারে করোনার টিকা পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ ‘ভ্যাকসিন বোট’ চালু করেছিল জেলা প্রশাসন। এ বার গোসাবা ব্লকের দ্বীপ এলাকার মানুষের জন্য ‘ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স’পরিষেবা চালু করল সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। মঙ্গলবার গোসাবার জেটিঘাটে বিদ্যানদীতে এই ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
গোসাবার দ্বীপাঞ্চলের মানুষের জলপথই একমাত্র ভরসা। তার জেরে রোগীকে ক্যানিং অথবা কলকাতায় নিয়ে যেতে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় রোগীদের। ‘ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স’-এর মাধ্যমে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত ওই অ্যাম্বুলেন্সটি বিদ্যানদীতে রাখা হবে। প্রয়োজনে কুমিরমারি, সাতজেলিয়া, বালি, চণ্ডীপুর, কচুখালি, গোসাবা, ছোটমোল্লাখালি, রাধানগর এবং তারানগরের মতো দ্বীপগুলিতেও পৌঁছে যাবে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি। ওই পরিষেবার উদ্বোধন করে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘সুন্দরবনের এই ব্লকের দ্বীপগুলির বাসিন্দারা এত দিন হাসপাতালে যাওয়ার সময় দুর্ভোগের মুখে পড়তেন। এ বার সেই সমস্যার সমাধান হল।’’
প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রোগীদের কাছ থেকে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া হিসেবে ১০০ টাকা নেওয়া হবে। তবে ওই জলযানের খরচ বহন করবে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, ‘‘দ্বীপাঞ্চলের কোভিড আক্রান্তদের জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স বরাদ্দ ছিল আগেই। এ বার সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর নতুন একটি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার ফলে দ্বীপের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।’’