প্রতীকী ছবি
দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের বিরুদ্ধে আমপানের টাকা নিয়ে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, বিভিন্ন খাতে আসা সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের জয়নগর কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান গৌর সরকার। বিধায়কের ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজন এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে দাবি করেন তিনি।
গৌর বলেন, “বহু গরিব মানুষ ঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়েও ক্ষতিপূরণ পাননি। অথচ পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বিধায়কের কাছের লোক হওয়ায় অনেকেই আমপানে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে। বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীসাথী মিলে সরকারি আধিকারিকদের ব্যবহার করে মাত্রাছাড়া দুর্নীতি করেছেন। বিভিন্ন খাতে আসা সরকারি প্রকল্পের টাকাও ওঁরা নয়ছয় করেছেন।”
গৌর জানান, এ ব্যাপারে দলের জেলা সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজ্যস্তরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এরা। আমি দলকে বিষয়টা জানিয়েছি। আশা করছি দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আমি রাস্তায় নেমে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করব।”
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এ দিন দীর্ঘক্ষণ তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। দক্ষিণ বারাসত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অরুণ নস্কর বলেন, “উনি (গৌর) ভুল তথ্য দিয়েছেন। সর্বত্রই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের নেতৃত্বে এলাকায় একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই উনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”
তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী জানান, রাজ্য জুড়ে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। সে সব মিটলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জয়নগরে তৃণমূলে বিশ্বনাথ গোষ্ঠীর সঙ্গে গৌর সরকার গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘ দিনের। এ দিনের ঘটনা সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে আরও একবার প্রকাশ্যে নিয়ে এল বলেই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। তবে গৌর বলেন, “এলাকায় দলের ভাবমূর্তি বাঁচাতে এই পদক্ষেপ করতেই হল।”