প্রতীকী ছবি
আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন একদল গ্রামবাসী। মহিলা প্রধান ও উপপ্রধানের উপরে চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। পঞ্চায়তের নানা সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়। দুই সদস্যের বাড়িতেও চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। ঘর থেকে জিনিসপত্র বের করে সেখানেও ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে সাগর ব্লকের ধসপাড়া সুমতিনগর ১ পঞ্চায়েতের ওই ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ শুরু হয়। এলাকার বহু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ঘর সারানোর টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। যাঁদের পাকা বাড়ি আছে, বা বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি, তাঁরা উল্টে টাকা পেয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্দোলনকারী কয়েকজনের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। প্রধান ও উপপ্রধানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় গ্রামবাসীদের। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েতের কয়েকজন কর্মীও জখম হন। পুলিশ সকলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় রুদ্রনগর গ্রামীণ হাসপাতালে।
ঘণ্টাখানেক ধরে ঝামেলা চলার পরে আন্দোলনকারীরা কাছেই মহেন্দ্রগঞ্জ গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য দয়ারাম মণ্ডল ও ধলপাড়া গ্রামের মহিলা সদস্য সাগরিকা আড়ির বাড়িতে হাজির হয়। উন্মত্ত জনতা ঘর থেকে বাইক, টোটো, আসবাব বের করে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও অভিয়োগ।
পঞ্চায়েতের প্রধান শোভা মাইতির দাবি, প্রায় সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকেরা পরিকল্পনা করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ মানেননি প্রধান।
এ বিষয়ে এলাকার বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাত্রের দাবি, শাসক দলের লোকজন ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে আন্দোলন করেছেন। অনেকের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকাও ছিল। এখন মিথ্যা ভাবে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এ দিনের আন্দোলনে সব দলেরই লোকজন ছিল।
এ বিষয়ে সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডলের কথায়, ‘‘কিছু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার টাকা না পাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা পাঠাতে দেরি করেছিল। দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।’’