খুনের চেষ্টার আগে বধূর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
প্রতিবেশীর পরিবারের সঙ্গে বিবাদের জেরে তাঁর স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করলেন উস্তি থানা এলাকার এক বাসিন্দা। সে জন্য ছক কষে দুষ্কৃতীদের কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে দৃষ্কৃতীরা ওই বধূর শ্লীলতাহানির পর তাঁকে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ওই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে উস্তি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে উস্তি থানার দেউলাপদ্ম গ্রামে জসমিনা বিবিকে শ্বাসরোধ করে দুষ্কৃতীরা খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। খুনের চেষ্টার আগে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। রাতেই জসমিনা বিবিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী গণেশ গাজিদের পরিবারের সঙ্গে অশান্তির জেরে সোমবার দেউলাপদ্ম গ্রামের জসমিনা বিবিদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে গণেশের সঙ্গে জসমিনা বিবির পরিবারের বচসা হয়েছিল। তা নিয়ে উস্তি থানায় অভিযোগও করেন জসমিনারা। অভিযোগ, সেই আক্রোশেই জসমিনা বিবিকে খুন করার ছক কষেছিলেন গণেশ।
পুলিশের কাছে অভিযোগে জসমিনা বিবির পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাঁদের বধূকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করতে চেয়েছিলেন গণেশ গাজি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রাতে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বার হয়েছিলেন জসমিনা। ঠিক তখনই দু’তিন জন দুষ্কৃতী তাঁর মুখে কাপড় চাপা দিয়ে মাঠের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। এর পর জসমিনা বিবির ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করে। তবে জসমিনা বিবির চিৎকার-চেঁচামেচি এলাকার মানুষজন বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। জসমিনা বিবির শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলি হোসেন গাজি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মন্দিরবাজারের এসডিপিও মিতুনকুমার দে বলেন, ‘‘জসমিনা বিবির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করেছে উস্তি থানার পুলিশ। পাশাপাশি, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।’’