বেশ কয়েকটি গুলি লাগে সুজাউদ্দিনের (ইনসেটে) গায়ে। নিজস্ব চিত্র
রাতের অন্ধকারে স্থানীয় যুব তৃণমূলের সভাপতিকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানার উত্তর কুসুম এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের নাম সুজাউদ্দিন গাজী। তিনি মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তর কুসুম অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি। রক্তাক্ত অবস্থায় সুজাউদ্দিনকে বানেশ্বরপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও রাতে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় উস্তি থেকে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুজাউদ্দিন। উত্তর কুসুমের কাছে আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকটি গুলি লাগে সুজাউদ্দিনের গায়ে। গুরুতর অবস্থায় এই মুহূর্তে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উস্তি থানার পুলিশ। রাতেই ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুনকুমার দের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
গুলিবিদ্ধ সুজাউদ্দিনের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার অনুগামীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। জানা গিয়েছে,সম্প্রতি 'সুজাউদ্দিন গাজীকে হুমকি দিচ্ছেন বিধায়ক—এমন অডিয়ো রেকর্ড নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়া সুজাউদ্দিনকে একাধিক বার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা নিয়ে মগরাহাট-১ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান বলেন,‘‘'দলের প্রভাবশালী নেতার মদতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমাকে জানিয়েছেন সুজাউদ্দিন। পুলিশ প্রশাসনকে বলব রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে যেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা জানিয়েছেন, ‘‘গুলি চলার ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দুষ্কৃতীদের নিশ্চয়ই গ্রেফতার করবে পুলিশ।’’