প্রতীকী ছবি।
এক তরুণীর যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল ব্যারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতাল। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালেরই ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের মালিকের গাড়িচালক। যে ঘরে যৌন হেনস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ, তার উপরেই হাসপাতালের সুপারের বিশ্রামাগার। এ দিন সন্ধ্যায় ওই তরুণী টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বাপ্পা সরকার পলাতক। তার খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড়ের বাসিন্দা, বছর বাইশের ওই তরুণীর দাদু ২০ দিন ধরে ওই হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন। রোজই সেখানে এসে দাদুর দেখভাল করেন তিনি। এরই মধ্যে তরুণীর সঙ্গে ভাব জমিয়েছিল বাপ্পা। তরুণীকে সে জানিয়েছিল, অনেক চিকিৎসকের সঙ্গেই তার চেনাশোনা আছে। তাই দাদুর সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত সে করে দেবে। বাপ্পা তরুণীকে বলেছিল, দাদুর চিকিৎসার নথিপত্র নিয়ে এলে হাসপাতালের মধ্যেই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত ঘরে নিয়ে গিয়ে সে তাঁর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবে। তাতে রাজি হন তরুণী।
এ দিন দুপুরে তরুণীকে বাপ্পা একটি ঘরে নিয়ে যায়। ঘরের চাবি তার কাছেই ছিল। ঘর খুলে তরুণীকে বসতে বলে সে। পরে দরজা বন্ধ করে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তরুণী চিৎকার শুরু করেন। কোনও রকমে দরজা খুলে বেরিয়ে যান তিনি। সরে পড়ে বাপ্পাও। অন্য রোগীর আত্মীয়েরা ছুটে আসেন। শোরগোল পড়ে যায়। টিটাগড় থানার পুলিশ এসে তরুণীর সঙ্গে কথা বলে। ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় তরুণী থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘরের চাবি কী করে বাপ্পার কাছে গেল? হাসপাতালের সুপার সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। কার প্রশ্রয়ে বাপ্পা এত বেপরোয়া হয়ে উঠল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ও হাসপাতাল। হাসপাতালের মধ্যে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্য রোগীর পরিজনদের মধ্যে।