—প্রতীকী ছবি।
সকাল থেকে কটু গন্ধ বেরোচ্ছিল ঘর থেকে। প্রথমে কেউ গা করেননি। কিন্তু বিকেলে ওই পচা গন্ধের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। দুর্গন্ধে টিকতে না পেরে পড়শিরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে দরজা ভেঙে দেখে, রক্তে ভেসে গিয়েছে গোটা ঘর। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক মহিলা। তাঁর ঠিক পাশে দেহ পড়ে এক পুরুষের। তাঁর একটি হাতে পিস্তল! বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় এই জোড়া দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম উত্তম মণ্ডল (৪৮) এবং অপর্ণা মণ্ডল (৪২)। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। উত্তম ও অপর্ণা যে বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন, সেই বাড়ির মালিক ও তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যুগলের দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে এসেছেন বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। আর একটু অপেক্ষা করতে হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছ’মাস ধরে বাইপাস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা দেবেনের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়া থাকছিলেন উত্তম ও অপর্ণা। উত্তমের বাড়ি উস্তি থানার রসা এলাকায়। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছেন। গত তিন বছর ধরে উত্তম অপর্ণার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন। নিজের বাড়ি ছেড়ে দেবেনের বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। মঙ্গলবার থেকে তাঁদের দেখা যায়নি এলাকায়। প্রতিবেশীদের বয়ান সংগ্রহ করে পুলিশের অনুমান, গোটা ঘটনাটিই মঙ্গলবার রাতে ঘটেছে। খোঁজখবর করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অপর্ণার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনারই ধামুয়া এলাকায়। তদন্তকারীদের একাংশের মত, অপর্ণাকে গুলি করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন উত্তম। কিন্তু তার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই খবর পুলিশ সূত্রে।