অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারণা। প্রতীকী চিত্র।
গাড়ি চুরির অভিনব প্রতারণা চক্রের হদিস পাওয়া গেল সোনারপুরে। ওই চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে গাড়ি এবং বাইকও। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ধৃতদের। পাশাপাশি, ওই চক্রে আর কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় গাড়ি চুরির একাধিক চক্র কাজ করছে। তদন্তকারীদের মতে, গাড়ি বিক্রির জন্য যাঁরা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেন তাঁদেরই নিশানা করে ওই চক্রগুলি। পুলিশের মতে, প্রথমে বিশ্বাস অর্জন করেন চক্রের সদস্যেরা। তার পর সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেওয়া হয় গাড়ি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিক্রেতার নামে চেক অথবা ভুয়ো ডিমান্ড ড্রাফট তৈরি করা হত। তা দেখিয়ে বিক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করাই ছিল দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য। এর পর গাড়ি হস্তান্তরের সমস্ত নথিতে সই করানো হত। বেছে বেছে সপ্তাহের এমন একটি দিন এবং সময়ে এই কাজ করা হত যাতে বিক্রেতা, দ্রুত ব্যাঙ্কে চেক বা ডিমান্ড ড্রাফট নিয়ে যেতে না পারেন। এই সময়ের মধ্যেই হাতিয়ে নেওয়া গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া হত অন্য কাউকে। টার্গেট খুঁজতে নানা এলাকায় বহু এজেন্টকে কাজে লাগানো হত বলেও অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, চক্রের মূল পাণ্ডারা সামনে আসতেন না কখনও। সম্প্রতি এমন একাধিক গাড়ি চুরির অভিযোগ দায়ের হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে সোনারপুর থেকে অভিষেক পাইক এবং অমল বাল্মীকি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁরা দু’জনেই অর্থের বিনিময়ে কাজ করতেন। তদন্তকারীদের মতে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকে। ধৃতদের থেকে একটি গাড়ি এবং একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে।