সন্দেশখালিতে আক্রান্ত ইডির গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। ধৃতেরা হলেন মোখিবুর মোল্লা, সুকুমার সর্দার। মূল ঘটনার সাত দিন পর তাঁদের গ্রেফতার করা হল। ইডির উপর হামলার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনই ভেড়ি এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। তাঁদের বাড়ি সরবেরিয়া এলাকায়। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা যুক্ত ছিলেন। ভিডিয়োতে তাঁদের দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকেই দু’জন গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তাঁদের খোঁজ মিলেছে।
সন্দেশখালিতে গত শুক্রবার রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে গিয়ে তারা বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়।
ওই দিন শাহজাহানের দেখা পায়নি ইডি। তাদের দাবি, শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন ৮০০ থেকে ১০০০ লোক। সকলেই তৃণমূল নেতার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়।
মার খাওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
ন্যাজাট থানার পুলিশ ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে কয়েক জন হামলাকারীকে চিহ্নিত করে। তাঁদের খোঁজ চলছিল। এলাকায় চিরুনিতল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সাফল্য মিলল।