গঙ্গাসাগর মেলা। —ফাইল চিত্র।
আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নবান্নে প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের আগে শুক্রবার, মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
এ দিন সকালে কাকদ্বীপের লট ৮ ভেসেল ও লঞ্চ চলাচলের জেটিঘাটগুলি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। পরে তিনি কচুবেড়িয়ার জেটিঘাটগুলিও ঘুরে দেখেন। দুপুরে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনের পাশাপাশি হেলিপ্যাড মাঠে যান।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরকারি-বেসরকারি বাসের বিশেষ পরিষেবা মিলবে। সরকারি বাসগুলি প্রায় আড়াই হাজার ট্রিপ করবে। বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা চার হাজার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। হাওড়া স্টেশন ও বাবুঘাট থেকে লট ৮ এবং নামখানা পর্যন্ত বিশেষ বাস পরিষেবা থাকবে।
উট্রাম ঘাট ও কালীঘাট থেকে দশটি ট্যুরিস্ট বাসের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। রাজ্য সরকার ও উবের অ্যাপ ক্যাব সংস্থার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উট্রাম ঘাটে একটি প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ করা হচ্ছে। এখান থেকে ট্যাক্সি পরিষেবা মিলবে।
মেলার সময়ে ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ ও ছ’টি বার্জ চলবে। এক একটি বার্জে করে প্রায় আড়াই হাজার পুণ্যার্থীকে নদী পারাপার করা যাবে। থাকবে প্রায় ৭০টি বেসরকারি লঞ্চ। কচুবেড়িয়া থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পৌঁছতে পর্যন্ত প্রায় ১২০০টি সরকারি বাস থাকবে। থাকছে বেসরকারি বাস ও প্রি-পেড ট্যাক্সি। মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছতে রাজ্য সরকারের তরফে থেকে এ বছর প্রায় আড়াই হাজার বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য হাওড়া স্টেশন, বাবুঘাট, ধর্মতলায় বিশেষ কাউন্টারের থাকবে। সেখানে কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগরে পৌঁছনোর টিকিট মিলবে। পুণ্যার্থীদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিয়ালদহের ডিআরএমকে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর আবেদন পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার পাশাপাশি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও থাকছে।
স্নেহাশিস বলেন, ‘‘গত বছর প্রায় এক কোটি পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন। এ বছর সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সে ভাবেই পরিবহণ দফতর বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’’