প্রস্তুত: নতুন সংশোধনাগার। শুক্রবার, বারুইপুরে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
অবশেষে স্থানান্তরিত হতে চলেছে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। আগামী ১৪ নভেম্বর বারুইপুরের টংতলায় তা স্থানান্তরিত হওয়ার কথা। ওই দিন বিকেলে নবান্ন থেকে বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আনুষ্ঠানিক দ্বারোদ্ঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারুইপুরে সংশোধনাগারের অনুষ্ঠানে থাকবেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস-সহ অন্য জনপ্রতিনিধি, পদস্থ আধিকারিকেরা।
কারা দফতর সূত্রে খবর, আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বারোদঘাটনের দু’-এক দিন আগেই আলিপুরের প্রায় ৫০ জন ‘শান্তিপ্রিয়’ বন্দিকে বারুইপুরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পরে ধাপে ধাপে অন্য বন্দিদেরও স্থানান্তর করা হবে বলে সূত্রের খবর।
কারা দফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, বারুইপুরে প্রয়োজনীয় আধুনিক সংশোধনাগারের সব সুবিধাই রাখা হচ্ছে। সেখানকার রান্নাঘরে থাকছে রুটি তৈরির মেশিন এবং ভাত-ডাল রান্নার জন্য আধুনিক ব্যবস্থা। এর ফলে রান্নাঘরে লোকবল কম লাগার পাশাপাশি খাবারও অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হবে বলেই মত কারা দফতর কর্তাদের। পাশাপাশি, সেখানে কর্মশালা করার জন্য বাইরের লোকদের আর সংশোধনাগারের মধ্যে দিয়ে ঢুকতে হবে না। তাঁরা বাইরে দিয়ে যাতে যাতায়াত করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্দিদের অবশ্য ভিতরের রাস্তাই ব্যবহার করতে হবে। সংশোধনাগারের মধ্যে একটি প্রেক্ষাগৃহও তৈরি হয়েছে। বন্দিদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে সেখানেই।
স্থানান্তরের প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে সেই বিষয়টি স্থির হলেও এখনও বারুইপুর সংশোধনাগারের কাজকর্ম বাকি রয়েছে। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘‘দ্রুতই স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ কারা দফতরের বক্তব্য, প্রথম দফায় যাওয়া বন্দিদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তার কারণ, সংশোধনাগারটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফলে যেখানের কাজ শেষ হয়েছে, সেখানেই বন্দিদের রাখা হবে। পরবর্তীতে পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হলে আলিপুরের সব বন্দিদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে।