এই ঘরেই মৃত্যু। নিজস্ব চিত্র
বন্ধ ঘরের বাইরে সাড়ে তিন বছরের ছেলে আপন মনে খেলে বেড়াচ্ছে। ঘরের মধ্যে তখন পুড়ছে মায়ের দেহ।
সোমবার রাত ৮’টা নাগাদ অগ্নিদগ্ধ মান্টি সিংহের (২৬) দেহ ওই ঘর থেকেই উদ্ধার করেছে।
ঘটনাটি হাবড়া থানার আনোয়ারবেড়িয়া বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকার। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে স্বামী প্রশান্ত ও সাড়ে তিন বছরের ছেলে সুব্রতকে নিয়ে মান্টি বিদ্যাসাগরপল্লির ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে। বাড়ির মালিক ছায়া আইচ সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরে টিভি দেখছিলেন। হঠাৎ তাঁর নজরে আসে, ভাড়া দেওয়া ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তিনি ছুটে গিয়ে দেখেন, মান্টির ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। ছেলে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে।
লোকজন জড়ো হয়ে যায়। শুরুতে দরজা ভাঙতে পারেননি পড়শিরা। টিনের ঘরের বাইরে থেকে জল দেওয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। খানিকক্ষণ পরে ছিটকিনি ভেঙে ঘরে ঢুকে সকলে দেখেন, মান্টি পড়ে আছেন। সারা শরীর ঝলসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: টেস্টেই ডাহা ফেল, শব্দদানব দাপাল রাজ্যু জুড়ে, আজ ফাইনালে কী হবে?
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে মাংস কিনে এনেছিলেন প্রশান্ত। খাওয়া-দাওয়া হয়। সন্ধ্যায় প্রশান্ত বাড়ি থেকে বেরোন। তারপরেই এই ঘটনা।
ছায়া বলেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি দেখিনি। চারদিকে মাইক বাজছিল। আমি টিভি দেখছিলাম। তাই প্রথমে বুঝতে পারিনি। মান্টি চিৎকার করে থাকলে তা-ও কানে আসেনি।’’ গোটা ঘটনায় প্রশান্তও হতবাক। অশান্তির কথা মানতে চাননি তিনিও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর দু’জনেরই অতীতে আরও একবার বিয়ে হয়েছিল। কী কারণে মান্টি মারা গেল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।