তখন কুঁকড়েখালি নদীর পাড়ে বসে বাঘ। —নিজস্ব চিত্র।
নদীর পাড়ে বসে জিরোচ্ছে বাঘ। মাঝে মাঝে দৃষ্টি মেলে দিচ্ছে দূরে। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর সকালে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে সুন্দরবন দেখতে যাওয়া পর্যটকরা। তবে জনবসতির এত কাছাকাছি বাঘ চলে আসার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকায়।
হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালীতলা পঞ্চায়েতে রয়েছে ঝিঙ্গাখালি বিটের শকুনখালির জঙ্গল। ওই জঙ্গল বসিরহাট ফরেস্ট বিভাগের অন্তর্গত। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন এক দল পর্যটক। কুঁকড়েখালি নদীতে সফর করার সময় আচমকাই তাঁরা দেখতে পান নদীর অপর পাড়ে জঙ্গলের ধারে একটি বাঘ বসে রয়েছে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে এত কাছ থেকে দেখতে পেয়ে ছবি তোলার ধুম পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যে। বাঘটিকে নদীর পাড়ে অনেক ক্ষণ ধরে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। নদীর পাড়ে কাদার উপর দিয়ে কিছুটা হাঁটতে দেখা যায় বাঘটিকে। এর পর ধীরে ধীরে জঙ্গলে মিলিয়ে যায় দক্ষিণরায়। পর্যটকদের ধারণা, বাঘটি সাত থেকে আট ফুট লম্বা। সুন্দরবন বেড়াতে এসে এত কাছ থেকে বাঘ দেখতে পেয়ে খুশি পর্যটকরা।
পর্যটকরা খুশি হলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। বাঘ বার হওয়ার খবর চাউর হয়েছে কালীতলা পঞ্চায়েতের শকুনখালির জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে। এতে বিপদ দেখছেন গ্রামবাসীরা। গত কয়েক দিনে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক মৎস্যজীবীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যেমন মঙ্গলবারই বাঘের হানায় মারা গিয়েছেন কুলতলির মৈপিঠ উপকূল থানার কিশোরী মোহনপুরের শ্রীকান্তপল্লির বাসিন্দা শ্রীনিবাস মণ্ডল (৫২)। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের কবলে পড়েন তিনি।