— প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সময়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়, ক্যানিং-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা। শুক্রবার রাতেই ক্যানিংয়ের গাজিপাড়ায় নান্টু গাজি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এক কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকাতেও। শুক্রবার রাতে প্রলয় মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভাঙড়েও মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী শেখ মোসলেমের। অভিযোগ, গত ৭ জুলাই অর্থাৎ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন রাতে বাড়ি ফেরার পথে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারে জখম হন মোসলেম। এর পর তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করানো হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে মোসলেমের। যদিও আইএসএফের তরফে এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উত্তাপ ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতেও। বাসন্তীতে শামিম সর্দার নামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ। অভিযোগের তির আরএসপি-র দিকে। বাসন্তীর ভরতগড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শামিম। অভিযোগ, সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি শামিমের গায়ে লাগে। এর পর গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরএসপি।
রাজ্যে গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়েছিল। তার পর থেকে কয়েকটি জেলায় প্রাণহানি, রক্তপাত, সংঘর্ষ, বোমাবাজির ঘটনা অব্যাহত। তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় প্রাণহানি, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা চলছেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ভাঙড়, ক্যানিং-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা উত্তপ্ত।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব থেকে এ নিয়ে রাজ্যে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।