—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটপরবর্তী ‘হিংসা’র বলি আরও এক। গভীর রাতে তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার সাতমুখী গাজিপাড়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই তৃণমূল কর্মীকে আহত অবস্থায় কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। নিহতের নাম নান্টু গাজি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ওই এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ায় শুক্রবার স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগে বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, বিজয় উৎসবের পর ওই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার কয়েক জন তৃণমূলকর্মী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যান বলেও অভিযোগ। পালাতে গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মী নান্টু পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন। নান্টুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠেছে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও আইএসএফের তরফে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করেন। কলকাতার সেই হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে নান্টুর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘ভোটে হেরে এলাকায় অশান্তি তৈরি করতে চাইছে বিরোধীরা। আইএসএফ পরিকল্পনা করে এই খুন করেছে। পুলিশ যাতে অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তার দাবি জানিয়েছি।’’ আইএসএফ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। স্থানীয় এক নেতার কথায়, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল। এর সঙ্গে আইএসএফের কর্মীরা যুক্ত নন।’’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ভাঙড়, ক্যানিং-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা উত্তপ্ত। প্রাণও হারিয়েছেন কয়েক জন। মনোনয়ন পর্ব থেকে এ নিয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হল।