বিক্ষোভ: বসিরহাটে। নিজস্ব চিত্র
কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ঘর তৈরিতে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে বসিরহাট পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। উপভোক্তাদেরও কেউ কেউ ছিলেন সেখানে।
বুধবার দুপুরের ঘটনা। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পারমিতা মজুমদারের দাবি, পুরভোটের আগে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপপ্রচার শুরু করেছে তৃণমূলের লোকজন।
বসিরহাট পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের হাতে আছে ১৭টি ওয়ার্ড। কংগ্রেসের ৩টি, বিজেপির ২টি এবং বামেদের দখলে আছে ১টি আসন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ‘সকলের জন্য ঘর’ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে ৩২টি ঘর তৈরি হওয়ার পরে ৮৮টি ঘরের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। ২৫ হাজার টাকা দিতে হয় উপভোক্তাকে। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, ব্যাঙ্কের পাসবই এবং চেক নিয়ে কাউন্সিলর ইচ্ছামতো টাকা তুলে নিচ্ছেন। তা ছাড়া, নিজের পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে নিম্নমানের ঘর তৈরি করেছেন। কারও কারও অভিযোগ, ঘরের জন্য ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়েও ঘর মেলেনি। জেলাশাসক, পুরপ্রধান-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে লিখিত ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
বিষয়টি নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দলের কিছু নেতার উপস্থিতিতে এ দিন বিক্ষোভে সামিল হন উপভোক্তাদের একাংশ। তৃণূমল নেতা কৌশিক দত্ত, বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গরিব মানুষের ঘর তৈরি নিয়ে দুর্নীতি করছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর। তা ছাড়া, ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি বেহাল, রাস্তার উন্নতি হয়নি। উন্নয়নের জন্য কত টাকা এসেছে, তা তা সকলকে জানাতে হবে বলেও দাবি তুলেছেন তাঁরা।
পারমিতা বলেন, ‘‘কোনও উপভোক্তার থেকে পাসবই, চেকবই নেওয়া হয়নি। তৃণমূল মিথ্যা প্রচার করেছে।’’ এ বিষয়ে কংগ্রেসের জেলার প্রাক্তন সভাপতি অমিত মজুমদার বলেন, ‘‘৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৫ হাজার ভোটার। তাঁদের কয়েকজন মাত্র ব্যক্তিসুবিধা না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘কাটমানির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।’’