তৃণমূলের মিছিলে আঞ্জুয়ারা খাতুন। নিজস্ব চিত্র।
দেগঙ্গা কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলে আঞ্জুয়ারা খাতুন। এই ঘটনা ঘিরে দেগঙ্গাতে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। দীর্ঘ তিন বছর পরে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণ করার ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি।
দেগঙ্গা-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অরূপ বিশ্বাস জানান, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলে অসুস্থ থাকার কারণে পঞ্চায়েতের কার্যকলাপ করতে তাঁর অসুবিধা হচ্ছিল। সেই কারণে ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য তিনি প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আঞ্জুয়ারা সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যান। তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ব্লক তৃণমূল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিডিএ অফিসে গিয়ে আঞ্জুয়ারা পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সদস্য তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘দেগঙ্গা জুড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানদের অপসারণ করা হচ্ছে। যে সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণ করা হচ্ছে তাঁরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের দুর্নীতি করতে অসুবিধার কারণে দলের চাপের মুখে পড়ে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। আর দলের তরফে ব্যক্তিগত সমস্যার অজুহাত দেখানো হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা কেন পদত্যাগ করছেন, তার সত্যতা প্রকাশ্যে আসা উচিত।’’
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেগঙ্গা-১ (কলসুর) গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৩টি, বিজেপি এবং সিপিএম ১টি করে আসনে জিতেছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পঞ্চায়েত গঠন করলেও গোড়া থেকেই তৃণমূলের অন্দরে প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।