শুক্রবার জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিদর্শনে যান যাদবপুরের সাংসদ মিমি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল দেখেও প্রশ্ন করেত তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
এক সপ্তাহ কাটতে চলল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে উত্তেজনা প্রশমনের নামগন্ধ নেই। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে মিছিলের পর মিছিল করছে আইএসএফ। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আনছেন আইএসএফ নেতারা। অন্য দিকে, তৃণমূলের তোপ, ভাঙড় অশান্ত করার জন্য দায়ী ভাইজানের দল। শুক্রবার এই পরিস্থিতিতে ভাঙড়ে দেখা গেল যাদবপুরের সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের পাশে দাঁড়িয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতেও শোনা গেল তাঁকে।
শুক্রবার জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিদর্শনে যান যাদবপুরের সাংসদ মিমি। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু মানুষের জন্য ভাঙড়ের নাম খারাপ হচ্ছে। কিছু মানুষের হিংসার জন্য, তাঁদের বদমেজাজের জন্য, কিছু মানুষের রগচটা কথাবার্তার জন্য এই পরিস্থিতি। এমন হাতে গোনা দু’তিন জনের জন্য ভাঙড়ের নাম বদনাম হয়।’’ তৃণমূল সাংসদের সংযুক্তি, ‘‘তাঁদের ব্যক্তিগত ঝামেলার জন্য ভাঙড়ের আজ এই অবস্থা।’’ এর পর হাত জোড় করে সাংসদকে আবেদন করতে দেখা যায়। বলেন, ‘‘এমন ভাবে চলবেন না।’’
গত শনিবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের গ্রেফতারির পর থেকে ভাঙড় অশান্ত। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনে নেমেছেন আইএসএফ কর্মীরা। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের তালদি এলাকায় মৌনী মিছিল করেন আইএসএফ কর্মীরা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নওশাদের মুক্তি না মিললে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া, বাগানআইট-সহ ভাঙড় বাজার এলাকাতেও মিছিল করে আইএসএফ। ভাঙড়ে বিভিন্ন এলাকায় আইএসএফের এই মিছিলে মহিলারাও পা মেলান।
এ নিয়ে তৃণমূল নেতা আরাবুল বলেন, ‘‘কিছু কিছু জায়গায় মৌনী মিছিল করেছে ওরা। তাতে আসলে কিছু যায় আসে না। ভাঙড়ের মানুষ শক্ত এবং কঠিন। তাঁরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। লড়াই হবেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ফুরফুরা শরিফের পিরজাদারা যে কথা বলছেন তা মিথ্যা। এর ফলে পিরজাদাদের প্রতি ভাঙড়ের মানুষের আন্তরিকতা কমছে।’’ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও আইএসএফের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন আরাবুল।
অন্য দিকে, ভাঙড়ের বিধায়কের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেল বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চাও। নওশাদের গ্রেফতারির নিন্দায় সরব হয়েছেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।