TMC

দূরত্ববিধি না মেনেই জনসভা তৃণমূলের

এই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রায় দু’হাজার মানুষ। অভিযোগ, সভায় আসা বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক পরেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ০০:১৮
Share:

শারীরিক দূরত্ববিধি না মেনেই চলছে জনসভা। ছবি: নবেন্দু ঘোষ

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কয়েকশো মানুষকে নিয়ে সভা করলেন বিধায়ক। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Advertisement

হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল রবিবার দুলদুলির মাতঙ্গিনী হাজরা মোড়ে বড় মঞ্চ বেঁধে পথসভা করেন। সভা শুরু হয় বিকেল ৪টে থেকে। শেষ হয় সাড়ে ৬টা নাগাদ। এই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রায় দু’হাজার মানুষ। অভিযোগ, সভায় আসা বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক পরেননি। শারীরিক দূরত্বও বজায় ছিল না।

বিধায়ক জানান, লকডাউনের মধ্যে অনেক দুষ্কৃতী তাদের দুষ্কর্ম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই পথসভার আয়োজন করা হয়।

Advertisement

কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা অন্য কথা বলছেন। তাঁদের দাবি, কয়েক দিন আগে দুলদুলিতে একটি চাষের জমি দখল করা নিয়ে গন্ডগোল বাধে। পুলিশকে ঘিরে স্থানীয় কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনার জন্যই ওই সভা করা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত মানুষকে নিয়ে শারীরিক দূরত্ব না মেনে কী ভাবে সভা করলেন বিধায়ক?

বিধায়কের দাবি, ‘‘শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পথসভা করব বলে প্রতিটি বুথ থেকে কম সংখ্যক মানুষকে নিয়ে আসার কথা ছিল। সেই মতো নির্দিষ্ট দূরত্বে চেয়ার পাতা হয়েছিল। তবে পথসভার কথা জানতে পেরে অনেক বেশি মানুষ চলে আসেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সভায় করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়। মাস্ক বিলি করা হয় এবং সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হয়। এতে মানুষ সচেতন হবে বলে আমার ধারণা।’’

তবে এই সভার অনুমতি ছিল না বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, “বিধায়ক হিসাবে দেবেশ মণ্ডলের এমন দায়িত্বহীন কাজ খুব নিন্দনীয়। গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের জন্য এক আইন আর শাসকদলের জন্য পৃথক আইন।” সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য শ্রীদীপ রায়চৌধুরী বলেন, “বিধায়কের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করব। যদি পদক্ষেপ না নেয় তবে তাঁর নামে থানায় এফআইআর করা হবে।”

হাসনাবাদের চিকিৎসক অর্ধেন্দুশেখর মণ্ডল বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে সভা কী ভাবে করলেন বিধায়ক— সেটাই বুঝতে পারছি না। ওই সভায় একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি থাকলে তাঁর থেকে অনেকে সংক্রমিত হতে পারেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement