—প্রতীকী চিত্র।
জয়নগর ১ ব্লকের বহড়ুক্ষেত্র পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার এখানে বিজেপির সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করলেন নির্দল প্রার্থীরা। জয়নগর, কুলতলির সব পঞ্চায়েতেই এ বার বোর্ড পড়েছে তৃণমূল। ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা একাধিক পঞ্চায়েতও দখল করেছে তারা। সেই বিজয়রথ থামল বহড়ুতে।
এই পঞ্চায়েতে ১৬টি আসনের মধ্যে ৭টিতে জেতে তৃণমূল, ৭টিতে জয় পান আম চিহ্ন নিয়ে লড়াই করা নির্দল প্রার্থীরা। বাকি ২টি আসনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী। এ দিন বোর্ড গঠনে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন জানান দুই বিজেপি সদস্য। প্রধান নির্বাচিত হন নির্দল হিসেবে জেতা মতিবুর রহমান লস্কর। উপপ্রধান হয়েছেন বিজেপির সঙ্গীতা হালদার মণ্ডল।
এক সময়ে কংগ্রেস করতেন মতিবুর। ২০০৮ সালে কংগ্রেসের হয়ে জিতে উপপ্রধান হন তিনি। পরে আস্থা ভোটে হেরে বিরোধী আসনে বসেন। ২০১৩ সালে সেই কংগ্রেসের টিকিটে জিতেই প্রধান হয়েছিলেন মতিবুর। ২০১৮ পর্যন্ত প্রধান ছিলেন। কিন্তু তহবিল তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারেননি তিনি। সে বার তৃণমূল এখানে ক্ষমতা দখল করে। পরে আদালতে মুক্ত হয়ে ফিরে এসে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে গোলমাল বাধে।
এ বার পঞ্চায়েত ভোটে নিজের অনুগামীদের নিয়ে আম চিহ্নে নির্দল হিসেবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন মতিবুর। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন বিদায়ী উপপ্রধান তথা তাঁরই ভাই মুজিবর। তবে জয় আটকায়নি মতিবুরের। এ দিন প্রধান নির্বাচিত হয়ে মতিবুর বলেন, “গত পাঁচ বছর এই পঞ্চায়েতে শুধু লুট হয়েছে। এ বার মানুষের পঞ্চায়েত গঠন হল।”
জয়নগর ১ ব্লকের তৃণমূল নেতা তুহিন বিশ্বাস বলেন, “আমরা ওখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইনি। মানুষের
রায় মাথা পেতে নিয়েছি। বহড়ুর উন্নয়নে নতুন বোর্ডকে সহযোগিতা করা হবে।”