হাড়োয়ায় নিহতদের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র
দলের ‘শহিদ দিবস’-এ উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কি মেনে নিচ্ছে জোড়াফুল শিবির? বৃহস্পতিবার হাড়োয়ার মোহনপুরে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এক ঝাঁক তৃণমূল বিধায়কের একটি প্রতিনিধি দল। নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। তার পাশাপাশি, তাঁদের বার্তা, ‘দুষ্কৃতীদের কোনও রং হয় না। কাউকে রেয়াত করা হবে না।’
বৃহস্পতিবার মোহনপুরে যান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থও ভৌমিক, অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল, তৃণণূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল-সহ অনেকে। সেখানে তাঁরা নিহত লক্ষ্মী বালা এবং সঞ্জীব জানার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল অশোকনগরের বিধায়ক।
‘শহিদ দিবস’-এর ওই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠছে নানা মহল থেকে। সেই প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক বলেন, ‘‘দলের মধ্যেও ওই ঘটনার তদন্ত হবে। পুলিশও তদন্ত করবে।’’ তবে পার্থর দাবি, ‘‘দলে কোথাও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। দুষ্কৃতীদের কোনও রং হয় না।’’ একই সুরে অশোকনগরের বিধায়ক বলেন, ‘‘আমরা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছি। দল সব সময় তাঁদের পাশে আছে। আমরা সেটা ওঁদের জানিয়েছি।’’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নারায়ণের মত, ‘‘দুষ্কৃতীদের কোনও রং হয় না। কাউকে রেয়াত করা হবে না। পুলিশি তদন্তে যার নাম উঠে আসবে, সেই সাজা পাবে।’’