Clash

ভেড়ির টাকা ভাগ ঘিরে হাতাহাতি, উত্তপ্ত শাসন

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাঠের মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ির মধ্যেই শুরু হয় বোমাবাজি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শাসন শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

Advertisement

ভেড়ি ইজারার টাকা জমা ও বিলিকে কেন্দ্র করে গোলমালের জেরে ফের উত্তপ্ত হল শাসন। শুক্রবার দুপুরে শাসন থানার বাদা গ্রামে তৃণমূলের দু`টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বোমা ও গুলি চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূলের বাদার গ্রাম কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ মণ্ডল-সহ কয়েক জন জখম হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে গ্রামের অবস্থা থমথমে। রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

শাসনের অর্থনীতির ভিত্তি মাছের ভেড়িগুলি। নিয়ম অনুযায়ী ভেড়ির মালিকেরা সেগুলি ইজারা দেন। গ্রাম কমিটিগুলি তার তদারকি করে। ইজারার টাকা কিস্তিতে জমা পড়ে। ইজারা প্রাপকেরা প্রকাশ্যে সেই টাকা গ্রাম কমিটির হাতে তুলে দেন। সেখান থেকে মালিকের প্রাপ্য মেটানোর পরে জমা পড়া টাকার বাকি অংশ গ্রামবাসীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

Advertisement

ইজারার টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বরাবরই শাসক দলের গ্রাম কমিটিগুলি টাকা জমা এবং বিলির দায়িত্বে থাকে। সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের বাদার গ্রাম কমিটির সভাপতি প্রবীর পাত্রকে সরিয়ে বিশ্বনাথ মণ্ডলকে দায়িত্ব দেন।

অভিযোগ, শুক্রবার কীর্তিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদা গ্রামের একটি মাঠে ভেড়ির টাকা জমা ও বিলি শুরু হতেই সেখানে দলবল নিয়ে পৌঁছন বিশ্বনাথ। প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। প্রবীর পার্টি অফিসের মধ্যে ছিলেন। অভিযোগ, বিশ্বনাথের দলবল সেখানে গিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে। তাতে তাঁর হাত ভাঙে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাঠের মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ির মধ্যেই শুরু হয় বোমাবাজি। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। শূন্যে গুলি চলে বলেও অভিযোগ। শাসন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ যদিও বোমা-গুলি চলার কথা স্বীকার করেনি। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

এ নিয়ে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রবীর বলেন, “এর আগে ২৫ লক্ষ টাকার হিসেব মেলেনি। আমরা সেই টাকার হিসেব দেওয়ার পরে এ দিনের টাকা জমার প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়েছিলাম। তখনই আমাদের উপরে হামলা হয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement