শওকত মোল্লা ও কাইজার আহমেদ। — ফাইল চিত্র।
ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে ভাঙড়ের ‘অবজার্ভার’ হিসাবে মানতে নারাজ সেখানকার তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। তাঁর দাবি, ভাঙড়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে শওকতকে। ‘অবজার্ভার’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন কাইজার। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। এ নিয়ে কারও নাম না করে শওকতের অভিযোগ, দলের দু’এক জন চেষ্টা করছেন এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল তৈরি করার।
শনিবার ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক হিসাবে নাম ঘোষণা হয়েছে শওকতের। তিনি যোগাযোগ রাখবেন দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিবেশ বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের নেতারা। এই আবহে ওই বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় শওকতের পদ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কাইজার। শওকতের প্রসঙ্গ উঠতেই কাইজারের মন্তব্য, ‘‘এতে খুশি-অখুশির কী আছে? আসলে ভাঙড়ে সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে একটা রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিছু দিনের মধ্যে। সেখানে ওই ধরনের শব্দ (অবজার্ভার) ব্যবহার করা হয়নি। যারা শুনেছে তারা বলছে। আমি হয়তো ভুল শুনেছি। ওঁকে নিয়োগ করা হয়েছে ভাঙড়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে একটা রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।’’ তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাউজার জানিয়েছেন, গত দু’বছর ধরে ভাঙড় ২-এ ব্লক সভাপতি নেই। এই অবস্থায় দলের কাঠামোগত ত্রুটিবিচ্যুতি কোন কোন জায়গায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতেই চাওয়া হবে ওই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।
কাইজারের মন্তব্য নিয়ে প্রাথমিক ভাবে শওকত বলেন, ‘‘কে কী বলেছে তা আমাকে না জিজ্ঞাসা করে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে জিজ্ঞাসা করলে ভাল হয়। এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’ এর পর তাঁর মন্তব্য, ‘‘আরাবুল’দার সঙ্গে ইতিমধ্যেই আমার কথা হয়েছে। দু’এক জন আছেন যাঁরা চেষ্টা করছে বিভিন্ন ভাবে যাতে দলের মধ্যে বিভাজন, গোষ্ঠীকোন্দলটা তৈরি করা যায়। দল এই নিয়ে খুবই সক্রিয়।’’ ভাঙড়ে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদী শওকত।