প্রতীকী চিত্র
ধর্মীয় স্থান ও স্কুল এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান বন্ধ করা নিয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দানা বাধছিল কিছু দিন ধরে। দোকান বন্ধ করা নিয়ে আন্দোলনে মদত দেওয়ার অভিযোগে দলের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল অন্য এক নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে হাড়োয়ার গোপালপুরের এই ঘটনায় জেলা পরিষদ সদস্য সঞ্জু বিশ্বাস পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মদের দোকান তৈরির লাইসেন্স পেয়েছেন তৃণমূলের হাড়োয়া ব্লক সদস্য অচিন্ত্য ঘোষ। দোকান তৈরির প্রতিবাদে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন গ্রামের বহু মানুষ। শেষমেশ দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হন মালিক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সঞ্জুর সঙ্গে অচিন্ত্যর গন্ডগোল শুরু হয়।
এরই মধ্যে হাড়োয়া থানার পাশে একটি নিকাশি নালায় পরিমাণ মতো পরিমাণ সিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয় কিছু মানুষ কাজ বন্ধ করে বিষয়টি বিডিওকে জানান। অচিন্ত্যই ওই কাজের বরাত পেয়েছিলেন।
নালা তৈরির কাজ বন্ধের পিছনেও সঞ্জু বিশ্বাসের হাত আছে বলে তৃণমূলের একাংশের ধারণা। অভিযোগ, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এক দল লোক সঞ্জুর বাড়িতে হামলা চালায়। গালিগালাজ, মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সঞ্জু বলেন, ‘‘মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছিলাম, এই রাগেই দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে।’’ সঞ্জুর দাবি, বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অচিন্ত্য আবার পুলিশকে জানিয়েছেন, পরিকল্পনা করেই সঞ্জু তাঁর ক্ষতি করছেন। হামলার অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা।