ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে সভা করার অভিযোগ আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। —নিজস্ব চিত্র।
১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে সভা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কাশীপুর থানার চিলেতলা এলাকার সভা থেকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন তিনি। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের আরও অভিযোগ, জেল থেকে ফিরেই এলাকায় সন্ত্রাসে মদত দেবেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। তিনি কেন ১৪৪ ধারার মধ্যে সভা করলেন? আরাবুলের জবাব, ‘‘আমরা জানতাম না।’’
মঙ্গলবার সভা থেকে আরাবুল অভিযোগ করেন, আইএসএফ কর্মীদের কাছ থেকে বন্দুক-বোমা উদ্ধার হচ্ছে। একের পর এক আইএসএফ কর্মী ধরা পড়ছে। পাশাপাশি, আইএসএফকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলের ‘যুদ্ধ’ চলতে থাকবে বলে জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভোটে জিতে স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ কেবলই সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেন। আরাবুলের কথায়, ‘‘তিনি (নওশাদ) এখন গুন্ডা-মস্তান তৈরি করছেন। শান্তিপূর্ণ ভাঙড়ে আমরা অশান্তি করতে দেব না। নওশাদ সিদ্দিকি জেল থেকে বেরিয়ে এসে মস্তানি করবেন। কিন্তু মানুষ তা সমর্থন করবে না। উনি এমন একটা লোক সব কিছুতে মিথ্যা কথা বলেন। তাই আগামিদিনে তৃণমূলের লড়াই জারি থাকবে। বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ চালু রাখবে তৃণমূল।’’
১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা নিয়ে আরাবুল জানান, তিনি এ রকম নির্দেশের কথা জানতেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই। আমার ধারণা ছিল, ১ নম্বর ব্লকে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। আমাদের ২ নম্বর ব্লকে এমন কিছু জারি হয়নি। তা হলে আমরা মিটিং করতাম না।’’ আরাবুলের দাবি, প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই সভা করেছেন তাঁরা।
বেশ কিছু দিন ধরে ভাঙড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। গত ২১ জানুয়ারি তা ব্যাপক আকার নেয়। ওই দিন ছিল আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা দিবস। আইএসএফের নেতা এবং কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের দলীয় কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আইএসএফ। ওই দিনই ধর্মতলার সভা থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের অভিযোগে গ্রেফতার নওশাদ-সহ ১৮ জন আইএসএফ নেতা। এখনও জেলবন্দি নওশাদ।
অন্য দিকে, ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। রাজনৈতিক সভার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার মধ্যেও আরাবুলের এই সভা নিয়ে অভিযোগ করছে আইএসএফ। এই প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান জানান, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।