—প্রতীকী চিত্র।
দু’দশক পুরনো খুনের মামলায় কাঠগড়ায় বিজেপি নেতা। তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি তৃণমূলের। সেই নিয়ে বুধবার বনগাঁয় বিক্ষোভ দেখাল তারা। তবে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার দাবি, পায়ের নীচের জমি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। তাই এমন আচরণ করছে।
১৯৯৯ সালের ৪ নভেম্বর একটি জলাশয় থেকে মোতিগঞ্জের বাসিন্দা সূর্যশঙ্কর রায়চোধুরীর দেহ উদ্ধার হয়। দাদাকে খুন করা হয়েছে বলে সেইসময় থানায় অভিযোগ জানান নিহতের ভাই সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়চৌধুরী। অভিযোগ পেয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল বনগাঁ থানার পুলিশ, যার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন দেবদাস মণ্ডল।
২০১৬-র পর থেকে এই মামলা আদালতে ওঠেনি। এর মধ্যে তৃণমূল-সিপিএম ঘুরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দেবদাস। এই মুহূর্তে বারাসতে বিজেপির সহ সভাপতি তিনি। গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির আবেদন জানিয়ে এসিজেএম দেবাশিস সাঁতরার কাছে ফের আবেদন জানান নিহতের আর এক ভাই সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী।
সেখান থেকে সদুত্তর না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সৌমেন্দ্র। তার পর সম্প্রতি বনগাঁ আদালতে মামলাটির নতুন করে শুনানি শুরু হয়েছে। দেবদাসকে ফাঁসি দিতে হবে বলে বুধবার আদালতের সামনে বিক্ষোভ দেখান বনগাঁ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল-কংগ্রেস সমর্থকরা। তাতে যোগ দেন নিহতের ভাই সৌমেন্দ্রও।
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হেল বনগাঁ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল-কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপালি বিশ্বাস বলেন, ‘‘সিপিএম-এর তৎকালীন এক নেতা এখন বিজেপিতে। আমাদের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এক কর্মীকে ফোনও করেছিলেন। তাঁর শাস্তির দাবিতে আমাদের এই বিক্ষোভ।’’
বিচারাধীন মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দেবদাস। তিনি বলেন, ‘‘মামলাটি বিচারাধীন। এ নিয়ে কিছু বলব না আমি। পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বলেই এমন আন্দোলন করছে তৃণমূল।’’