—প্রতীকী চিত্র।
২০১৯ সাল থেকে বনগাঁ মহকুমায় লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবি অব্যাহত। ঘুরে দাঁড়াতে বাগদা বিধানসভার উপনির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই এখানকার প্রতি পঞ্চায়েতে সংগঠনের হয়ে নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব বর্তাল দলের ‘হেভিওয়েট’দের উপরে।
সোমবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা তৃণমূলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাগদার উপনির্বাচন নিয়ে দলের রণকৌশল ঠিক করতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এবং বাগদার তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বাগদা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের রণকৌশল ঠিক করা থেকে সব কিছুই উপরই দলনেত্রী নজর রাখছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন। সেইমতোই বাগদার ১২টি পঞ্চায়েতে দলের ‘হেভিওয়েট’দের দায়িত্ব দেওয়া হল। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদেরও যুক্ত করা হয়েছে। একটি নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্বজিৎকে।
জেলা সভাধিপতি বলেন, ‘‘২০ জুনের মধ্যে বাগদার ২৯৯টি বুথে দলীয় বৈঠক শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটে যে কমিটি কাজ করেছিল, মূলত সেই কমিটিই কাজ করবে। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সভাপতিদের আরও সক্রিয় ভাবে প্রচারে নামতে বলা হয়েছে। তাঁদের ভূমিকার উপরেও নজর রাখা হবে।’’ বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘ বাগদার উপনির্বাচন থেকেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। সে জন্য চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছি না।’’
লোকসভা ভোটে তৃণমূল বাগদায় ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। ১২টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটি (আষাঢ়ু, বয়রা ও মালিপোতা) থেকে শুধু ‘লিড’ পেয়েছে।