—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ। গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। দুই জেলার একাধিক ব্লকের বিভিন্ন আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় শাসক দলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত। ক্যানিং ১, সন্দেশখালি ১ ও ২ এবং দেগঙ্গা ব্লকের একাধিক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ২ ব্লকের শাসন-সহ সাতটি পঞ্চায়েতে মোট ১৭৪টি পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৬৪টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিরোধীরা। অর্থাৎ, একশোর বেশি পঞ্চায়েতের আসনে বিনা লড়াইয়ে জিততে চলেছে তৃণমূল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ২৩৮টি। এর মধ্যে ৩৬টি আসনে বিরোধীদের কোনও প্রার্থী নেই। পঞ্চায়েত সমিতির ৩৩টি আসনের মধ্যেও ৫টিতে কোনও লড়াই হচ্ছে না। সাগর ব্লকে একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল।
বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের সন্ত্রাসের ভয়েই এই সব আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। যদিও শাসক দলের দাবি, সংগঠন না থাকার জন্যই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা।
ডায়মন্ড হারবার ১ ও ২ ব্লকে অনেক আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম ও বিজেপি। সিপিএমের ডায়মন্ড হারবার ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিস ঘোষের অভিযোগ, “প্রথম দু’দিন মনোনয়ন জমা করতে পেরেছি। পরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থীদের নথিপত্র ছিঁড়ে দিয়েছে।”
সিপিএমের ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের ২ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সাবির দপ্তরীর অভিযোগ, “শাসক দলের ভয়ে মনোনয়নপত্র জমা করতে যেতে পারিনি।” ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির আহ্বায়ক দেবাংশু পন্ডার অভিযোগ, “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই অনেকের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক পান্নালাল হালদার অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবারের দু’টি ব্লকে শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।’’