বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
সিএএ-র প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে ক’দিন আগে ঠাকুরনগরে সভা হয়েছে বিজেপির তরফে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারই পাল্টা হিসেবে রবিবার একই মাঠে সভা করল তৃণমূল।
শুভেন্দু বলে গিয়েছেন, ‘‘সিএএ কার্যকর হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘‘আপনার দম থাকলে সিএএ আটকে দেখান।’’
রবিবার তৃণমূলের সভায় এসেছিলেন দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর, বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ।
বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘সিএএ-এর নামে বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের বেনাগরিক করার চক্রান্ত করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধেই আমরা মতুয়াদের নিয়ে জনসভা করছি।’’
মঞ্চ থেকে জ্যোতিপ্রিয় বিজেপির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘মতুয়া ঠাকুরবাড়ি নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করবেন না। ঠাকুরবাড়ি রাজনীতির ঊর্ধ্বে। ঠাকুরবাড়ি নিয়ে তৃণমূল কখনও রাজনীতি করে না।’’ মতুয়াদের বড়মা, প্রয়াত বীণাপানি ঠাকুরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।
সিএএ নিয়ে বনমন্ত্রী এদিন ফের বলেন, ‘‘যাঁদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড আছে, তাঁরা নাগরিক।’’ তাঁর দাবি, সিএএ বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব নয়। প্রথমে এনপিআর করতে হবে। তারপর এনআরসি এবং শেষে সিএএ। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্র সরকার কয়েক লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। আমরা আবার সেই নাম তুলছি।’’
মমতা ঠাকুর বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে মতুয়াদের ভাঁওতা দিতে বিজেপি ফের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আগে নাগরিকত্ব নিতে হবে। তারপরে আমাদের দিতে আসবেন।’’
তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস পরে বলেন, ‘‘সিএএ মানুষকে নাগরিকত্ব দেয়। নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় না।’’ তাঁর অভিযোগ, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে সিএএ-এর বিরোধিতা করছে তৃণমূল।