ফাইল চিত্র।
বাঁশের প্রায় তলায় নেমে এসেছে জাতীয় পতাকা। পাশে অন্য একটি খুঁটিতে বিধায়কের ছবি। স্বাধীনতা দিবসে এ ধরনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের চণ্ডীপুর গ্রামের। যার জেরে সমালোচিত হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
নওশাদের বক্তব্য, ‘‘আমার বহু পুরনো একটি ফ্লেক্সের ছবি তুলে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা নমস্য। তাঁদের কোনও অসম্মান হোক, এমন কাজ আমি করতে পারি না। তারপরেও বলছি, এ রকম কোনও ঘটনাঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’
চণ্ডীপুরে পতাকা উত্তোলনে আসেননি নওশাদ। তবে ভাঙড়ের বেশ কিছু জায়গায় পতাকা তোলেন। দলের পক্ষ থেকে জানাো হয়েছে, ছবিটি যে সময়ে তোলা হয়েছে, তখন বেদি সাজানো হচ্ছিল। তৃণমূল চক্রান্ত করে বিধায়ককে বদনাম করতে এ ধরনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে।
এ বিষয়ে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘ছবি দেখে মনে হচ্ছে নওশাদই একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী! এ ধরনের কাজ আমাদের দেশের লজ্জা।’’
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য এবং তৃণমূল সন্ত্রাস করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন নওশাদ। সেই ঘটনা উল্লেখ করে আরাবুল বলেন, ‘‘এ থেকে বিজেপির সঙ্গে নওশাদের আঁতাতের বিষয়টি বোঝা গিয়েছে।’’ নওশাদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘গত বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময়ে ওরা নানা ভাবে বাধা দিয়েছিল। সেসময় আমি রাজ্যকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সে কারণে এ বছর ঠিক জায়গায় জানিয়েছি। ঠিক মতো ওষুধ পড়ায় এ বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ে কোনও গন্ডগোল হয়নি।’’