নওশাদ সিদ্দিকি ও আরাবুল ইসলাম। — ফাইল চিত্র।
ভাঙড় অশান্ত হলে তৃণমূল বসে থাকবে না। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দিনে এমনই হুঙ্কার দিলেন আরাবুল ইসলাম। শনিবার ভাঙড়ে একটি সভা করে তৃণমূল। আইএসএফের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশের মদতেই পাল্টা সন্ত্রাস করছে তৃণমূল।
৪২ দিন বন্দি থাকার পর শনিবার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন নওশাদ। আইএসএফ বিধায়ক জামিন পাওয়ার পর থেকেই উচ্ছ্বাসের ছবি দেখা গিয়েছে ভাঙড় এবং হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ফুরফুরা শরিফে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে। এই আবহে শনিবার বিকেলে ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করেন তৃণমূল নেতা আরাবুল। সেখানে ওই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘গত এক মাস ধরে ভাঙড়ে শান্তির বাতাবরণ ছিল। কিন্তু নওশাদ সিদ্দিকি জামিন পাওয়ার পরে বিভিন্ন এলাকায় আইএসএফ এবং সিপিএম এক হয়ে ভাঙড়ে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছে। বোমা ফাটানো হচ্ছে, আবির মাখা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কয়েক জন তৃণমূল নেতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গালিগালাজও করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা আজ একটা বৈঠক করলাম। প্রশাসনকে বলেছি, এই ধরনের চক্রান্ত হলে তৃণমূল বসে থাকবে না। কর্মীদেরও আমরা সতর্ক করে দিয়েছি।’’
ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মোদাসসের হোসেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘২০০৮ সালে সিপিএমকে লটকে আমরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসছিলাম। আজকে আমরা রাজ্যের ক্ষমতায়, পঞ্চায়েতের ক্ষমতায়। আর নওশাদ সিদ্দিকি ধর্মতলায় গিয়েছিল নায়ক গিয়েছিল ধর্মতলায়। কিন্তু নায়ক সাজতে পারেনি। খলনায়ক হয়েছে জেল খেটে। আজ নওশাদ সিদ্দিকি জামিন পেয়েছে। যারা মিষ্টি খাচ্ছে আর আবির মাখছে তাদের চেহারাটা দেখবে কারা। তারা কিন্তু আমাদের থেকে ১০০ দিনের টাকা নিয়েছে।’’
তৃণমূল নেতাদের হুঙ্কার নিয়ে ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা রাইনুল হক পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশের মদতে তৃণমূল ভাঙড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বহু নেতা কর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বিধায়ককেও জোর করে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল।’’ আগামিদিনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাইনুল।