তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে তাঁর দলের লোকেদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। হামলা হচ্ছে দলীয় কার্যালয়ে। অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। পদক্ষেপ করছে না পুলিশ। সোমবার এমনই সব অভিযোগ নিয়ে এসডিপিও অফিসে স্মারকলিপি জমা দিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। তাঁর দাবি, পুলিশ যে নিষ্ক্রিয় তা নয়। তবে কার্যকর কিছুও করছে না। অন্য দিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ করছে তারা। রাজনীতি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে পুলিশ।
সোমবার ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা পুলিশ আরক্ষা আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ডায়মন্ড হারবার এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে বিরোধীরা। এমনকি বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করা হচ্ছে। এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও ফল হয়নি। পুলিশ যাতে যথাযথ পদক্ষেপ করে, সেই আবেদন নিয়ে এই ডেপুটেশন। তৃণমূলের দাবি, তাদের নেতাকর্মীদের উপর যত্রতত্র হামলা করছে বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফ। বিধায়ক পান্নালালের কথায়, ‘‘পুলিশ সঠিক ভাবে আমাদের অভিযোগ নিচ্ছে না। যতটা সক্রিয় হওয়া উচিত, সেটা দেখা যাচ্ছে না। এটা পুলিশের ব্যর্থতা নয়। সক্রিয়তার অভাব।’’
এই অভিযোগ নিয়ে এসডিপিও মিতুন দে বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই কিছু অভাব-অভিযোগ থাকে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে কিছু প্রত্যাশা থাকে। ওরা (তৃণমূল) ওদের বক্তব্য বলেছে। কিছু নির্দিষ্ট অভিযোগ আমরা নিয়েছি। আইন অনুযায়ী তার সমাধানের চেষ্টা হবে।’’ তা হলে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসকদল কেন এমন অভিযোগ করছে? মিতুনের বক্তব্য, ‘‘বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা অবশ্যই ঘটছে। তবে এলাকা মোটের উপর শান্ত। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। রাজনীতি-নিরপেক্ষ ভাবেই এই কাজ চলছে।’’ তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘ভোটের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলই ডেপুটেশন দেয়। এমন প্রবণতা থাকেই। আমাদের কাজ হল সেই অভিযোগ যাচাই করে পদক্ষেপ করা।’’