সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিজস্ব ছবি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। রবিবার এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায়। পুলিশের সামনে হামলা হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি, এই অভিযোগ তুলে লেদার কমপ্লেক্স থানায় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম কর্মীরা। তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, আইএসএফের কাছে ‘বিক্রি’ হয়ে যাওয়া একটি দলের উপর হামলা করার কোনও কারণ নেই।
রবিবার ভাঙড়ের পাইকান থেকে গাবতলা পর্যন্ত মিছিল-কর্মসূচি ছিল সিপিএমের। বামেদের অভিযোগ, মিছিল করতে দলীয় কর্মীরা হাতিশালা এসে পৌঁছতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা জুলফিকার মোল্লা এবং রশিদ মোল্লা দলবল নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। গোটা ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটলেও তারা কোনও রকম বাধা দেয়নি।
সিপিএমের দাবি, তাদের ৩ জন সমর্থক গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে পরে লেদার কমপ্লেক্স থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থেকে সরাতে গেলে সেখানেও হাতাহাতি হয়। বাসন্তী হাইওয়েতেও অবরোধ করেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা। পরে সেখান থেকেও তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গণতন্ত্র বলে বাংলায় আর কিছু নেই। সন্ত্রাসের আগুনে জ্বলছে রাজ্য।’’ পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘‘ভাঙড়ে সিপিএমের সংগঠন বলে কিছু নেই। ওরা আইএসএফ-এর কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ওদের উপরে কেন হামলা করতে যাব আমরা? এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’