ফের আতঙ্কের ছায়া কুলতলিতে নিজস্ব চিত্র।
সবে বাঘের আতঙ্ক থেকে মুক্ত হয়েছে কুলতলি। তার মধ্যেই নতুন করে ফের বাঘের হামলা বর্ষশেষের রাতে। বাঘের হামলায় জখম হলেন ২ মৎস্যজীবী। শুক্রবার রাতে সুন্দরবনের হলদিবাড়ি জঙ্গল লাগোয়া রঙমারির চরে এই ঘটনাটি ঘটে। আহত অমল দণ্ডপাত (৫০) ও খোকন মুন্ডা (৪৫) মৈপীঠ উপকূল থানার শনিবারের হাট এলাকার শক্তির মোড়ের বাসিন্দা। বাঘের হামলায় অমলের খুলি এবং খোকনের ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত দু’জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও বন দফতর।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, বেশ কয়েক জন মৎস্যজীবী বিদ্যাধরী নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। একটি নৌকায় ছিলেন অমল ও খোকন। শুক্রবার রাতে হলদিবাড়ির জঙ্গলের পাশ থেকে বিদ্যাধরী নদী দিয়ে যাচ্ছিল তাঁদের নৌকাটি। রঙমারি চরের কাছে গাছের নীচে লুকিয়ে ছিল একটি বাঘ। মানুষ দেখেই নৌকার উপর ঝাঁপ দেয় বাঘটি। বাঘটি প্রথমে খোকন এবং পরে অমলকে আক্রমণ করে। দুই মৎস্যজীবীই বৈঠা নিয়ে ক্রমাগত বাঘটিকে আঘাত করতে থাকেন৷
বৈঠার আঘাতে একসময় নৌকা ছেড়ে চরে উঠে যায় বাঘটি। অমলদের সঙ্গীরা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে গ্রামে ফিরিয়ে আনেন। এর পর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। অমলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এই মৎস্যজীবীদের কাছে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরার জন্য কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
প্রসঙ্গত, গত বছর একই দিনে বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল কুলতলির কাঁটামারির বাসিন্দা অভয় মণ্ডলের। বছর ঘুরতে ফের সেই দিনেই বাঘের হামলার মুখে পড়লেন দুই মৎস্যজীবী।