চিকিৎসকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুনের মামলায় মঙ্গলবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবারই মৃতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যেরা। তিন সদস্য বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা বলেন নির্মম কাণ্ডে সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে। সুবিচার না-পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা।
সাক্ষাৎ এবং কথাবার্তা শেষে রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য সুভদ্রা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা ওই পরিবারের সঙ্গে আছি। পরিবার সাহায্য চাইলে তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করব আমরা।’’ তিনি জানান ইতিমধ্যে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় দেখা করেছেন। তিনি মঙ্গলবারও বেশ কিছু বার্তা দিয়ে পাঠিয়েছেন। সেটাই মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মাকে জানিয়েছেন তাঁরা। সুভদ্রা বলেন, ‘‘আমরা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেও গিয়েছি। আমরা তদন্তের শেষ পর্যন্ত থাকব। দোষীরা যেন শাস্তি পান, এটাই চান মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মা। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে এ নিয়ে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানাব।’’
উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে একাধিক মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশকে তদন্তের যাবতীয় রিপোর্ট এবং সিসিটিভি ফুটেজ, যা তারা সংগ্রহ করেছিল, তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আরজি করের ঘটনায় প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে যে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন ওঠে। সে সম্পর্কে রাজ্যের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘এই ধরনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। প্রথমে এসে কেউ অভিযোগ করেননি। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হয়েছিল।’’ রাজ্যের যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা আশা করা যায় না। মৃতদেহ কি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে? কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল? হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষ রয়েছেন। আপনারা প্রিন্সিপালকে পুরস্কৃত করলেন। কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হল না? যথেষ্ট হয়েছে। এই যুক্তি দেখাবেন না।’’