প্রতীকী ছবি।
বেটিং চক্রে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রোহিত সাউ, টি তারকেশ্বর রাও এবং রীতেশ সিংহ। রোহিতের বাড়ি খড়দহের পি কে বিশ্বাস রোডে। তারকশ্বরের বাড়ি টিটাগড়ের বাঁশবাগান এলাকায়। রীতেশ সেখানকারই আর পি গুপ্ত পথ এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য দিনের মতো সোমবার রাতেও ব্যারাকপুরের ঘোষপাড়া রোডে নাকা তল্লাশি চলছিল পুলিশের। রাত আড়াইটে নাগাদ স্কুটারে তিন যুবককে ব্যারাকপুর থেকে জগদ্দলের দিকে যেতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশকর্মীদের। নোয়াপাড়ার থানার পিনকল মোড়ে স্কুটারটি আটকান তাঁরা। জেরায় ওই তিন যুবকের কথায় অসঙ্গতি মেলায় স্কুটারে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখনই সিটের নীচে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানায়, ওই টাকা আইপিএলে বেটিংয়ের। যারা জুয়ায় জিতেছে, তাদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা জগদ্দল যাচ্ছিল। তিন যুবক আরও জানিয়েছে, এর আগেও তারা সোদপুর, খড়দহের চার-পাঁচটি জায়গায় টাকা পৌঁছে দিয়ে এসেছে।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আইপিএলের বেটিং কারবার চালানোর জন্য কোথায় অফিস খোলা হয়েছিল, কারা এর পিছনে রয়েছে, সোদপুর ও খড়দহে কাদের কাছে বেটিংয়ের টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে— সে সবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘জগদ্দলে যার কাছে টাকা পৌঁছনোর কথা ছিল, সেই ব্যক্তির খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি। এর পিছনে বিপুল পরিমাণ টাকার খেলা রয়েছে। আর কোন কোন এলাকায় এই বেটিং চক্রের জাল ছড়িয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’