অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া একটি বাড়ি। —ফাইল চিত্র ।
জয়নগরের দলুয়াখাকিতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত সোমবার বামনগাছির পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের মহিলাদের মারধর করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে শুধুমাত্র সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর সইফুদ্দিনকে খুনের মামলার পাশপাশি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ।
সেই মামলাতেই রবিবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি এবং আমানুল্লাহ জমাদার। এঁদের প্রত্যেকের বাড়িই দলুয়াখাকিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন জয়নগর থানার বামনগাছি এলাকার তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। মসজিদের সিঁড়িতে সবে পা রেখেছিলেন তিনি, এমন সময়ে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্তাক্ত দেহটি তুলে দৌড়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সইফুদ্দিনকে। আর তার পরেই জোর উত্তেজনা এলাকায়। চলে একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
সইফুদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দু’জন ধরা পড়ে যান স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের এক জনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্য জন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় আনিসুর লস্কর এবং কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও দুই অভিযুক্তকে।