রোদ-বৃষ্টি মাথায় লাইনে 

৯ সেপ্টেম্বর থেকে পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে ক্যাম্প করে এই কাজ শুরু হয়েছে। তবে গত তিন-চার দিন ধরে এই কাজ ব্লক অফিসেই হচ্ছে।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

ভিড়: ব্লক অফিসে। নিজস্ব চিত্র

রাত জেগে রেশন কার্ড সংশোধনের লাইনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ। রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ক্রমশ বাড়ছে লাইন। ক্যানিং ১ ব্লকের দাঁড়িয়া, হাটপুকুরিয়া, ইটখোলা সহ আশপাশের পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনের ভিড়ে গত কয়েক দিন ধরে উপচে পড়ছে ক্যানিং ১ বিডিও অফিস। আগে পঞ্চায়েত অফিসে ক্যাম্প করে সেখানে এই সংশোধনীর কাজ চলছিল। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশে গত কয়েক দিন ধরে ব্লক অফিসে ক্যাম্প হয়েছে। যেখানে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি ও সংশোধনের জন্য মানুষ লাইন দিচ্ছেন।

Advertisement

ক্যানিং ১ ব্লক খাদ্য আধিকারিক আশিস হালদার বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর থেকে পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে ক্যাম্প করে এই কাজ শুরু হয়েছে। তবে গত তিন-চার দিন ধরে এই কাজ ব্লক অফিসেই হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ক্যানিং ১ ব্লকের মোট ১০টি পঞ্চায়েতের প্রায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ এই সংশোধনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।’’ এনআরসি-র আতঙ্কেই এই ভিড় বলে জানাচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ। তৃণমূল নেতা গোপাল কুণ্ডু অবশ্য বলেন, ‘‘অসমে এনআরসি নিয়ে যা হয়েছে, তাতে এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত।”

ক্যানিং ইটখোলা গ্রাম থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসে বিডিও অফিসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন রফিকুল মোল্লা। বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ফর্ম জমা দিতে পারেননি। বললেন, “বৃষ্টিতে ভিজেছি সারা রাত। আজও সকাল থেকে মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এ সব উপেক্ষা করে এই কাগজ জমা দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছি।” রফিকুলের মতই একই বক্তব্য দাঁড়িয়ার অনাদি সর্দার, তালদির মোতালেব লস্করের। প্রশাসন থেকে বার বার বলা হচ্ছে, এই কর্মসূচির সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও অফিসে ভিড় কমছে কই!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement