—প্রতীকী ছবি।
দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের পরে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল আগেই। পাশাপাশি, ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, চেক বুক ও গুরুত্বপূর্ণ নথিও পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এ বার ধৃতদের জেরায় মিলল বড় চক্রের হদিস। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়ার টোপ দিত ওই চক্র। চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
গত সপ্তাহে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ সাদ্দাম হোসেন ও শেখ সাহাবুল নামে দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতেই চাঞ্চল্যকর ওই তথ্য মেলে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষদের নিশানা করত অভিযুক্তেরা। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের বিনিময়ে মোটা মাসোহারার টোপ দেওয়া হত। সেই সব ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হত সাইবার প্রতারকদের কাছে। বহু ক্ষেত্রে কাজ আদায়ে অভিযুক্তেরা নিজেদের পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মী হিসাবেও পরিচয় দিত।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাহাবুলের নাম জড়িয়েছিল। এই চক্রের সদস্যেরা বিভিন্ন জায়গায় কয়েক মাস থাকার পরে ঠিকানা বদল করত। নতুন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্মী এবং মোবাইল সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াত। এলাকায় আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের তথ্য নিত। এর পরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। মাসিক কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়ায় নেওয়ার প্রস্তাব দিত অভিযুক্তেরা। অভিযোগ, ভয় দেখিয়েও কাজ আদায় করত তারা।
একই কায়দায় নিউ ব্যারাকপুর এলাকাতেও কাজ শুরু করে অভিযুক্তেরা। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় উঠে আসা তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে কোন কোন সাইবার প্রতারকের যোগ রয়েছে, তা-ও দেখা হচ্ছে।