ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে পদযাত্রা। নিজস্ব চিত্র।
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ধ্বংস আটকাতে সচেতনতাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। সোমবার বাসন্তী থানা এলাকায় একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে ভরতগড় থেকে আনন্দবাদ পর্যন্ত পদযাত্রা করে স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। তাতে পা মেলান পুলিশ ও বন দফতরের আধিকারিকরা।
দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বাসন্তীতে মাতলা নদীর চরে বিঘার পর বিঘা জমির ম্যানগ্রোভ কেটে মাছের ভেড়ি তৈরি চলছে। বার বার পুলিশ অভিযানেও তা থামানো যায়নি। বাসন্তী ব্লকের মসজিদবাটি ভরতগড় মুড়োখালি-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকশো বিঘার ম্যানগ্রোভের জঙ্গল কেটে সাফ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
ম্যানগ্রোভ নষ্টের কারণে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাসন্তীর এক বাসিন্দা। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশ একটি তদন্ত কমিটি বাসন্তীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
বাসন্তী থানার আইসি আব্দুল রোব খানের নেতৃত্বে বেশ কিছু জেসিবি আটক করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে মাছের ভেড়ি তৈরি করার অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে এ ভাবে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস আটকানো যাবে না বলেই মনে করছে পুলিশ। তাই সচেতনতার উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাধারণ) ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন “ম্যানগ্রোভ কাটা ঠেকাতে কড়া নজরদারি চলছে বিভিন্ন এলাকায়। তবে সাধারণ মানুষকে ম্যানগ্রোভ কাটার প্রভাব সম্পর্কে সচেতন না করলে অরণ্য ধ্বংস থামানো যাবে না। তাই সচেতনতা ও প্রচার অভিযানের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।”